আউটসোর্সিং বর্তমান সময় এর সেরা পেশা। খুব কম সময় এ বেশি আয় করা আউটসোর্সিং এর মূল সুবিধা। শুধুমাত্র একটু দক্ষতা থাকলে আপনিও হতে পারেন একজন সফল ফ্রীলান্সার।আজ আপনাদেরকে বলব কিভাবে আউটসোর্সিং এ নিজের নাম লিখবেন। চলুন তাহলে শুরু করি....
#যা যা লাগবে :
১. কম্পিউটার / ল্যাপটপ,
২. ইন্টারনেট কানেকশন / মডেম,
৩. কিছু কাজের দক্ষতা,
৪. যথেষ্ট সময়।
মোটামুটি এই ৪ টি জিনিস থাকলে যে কেউ আউটসোর্সিং এ কারীর গর্তে পারবেন। ভেবে দেখুন আপনার কি কি আছে। ১.২ ও ৪ নম্বর সবার থাকে কিন্তু ৩ নম্বর টা সবার না ও থাকতে পারে। সেজন্যই দরকার নিজেকে দক্ষ করে তোলা।
উপরের ৪ টি জিনিস নিশ্চিত হতে পারলে চলুন আরো সামনে এগিয়ে যাই. . .
এবার যে কোন একটি মার্কেটপ্লেস এ Account খুলুন। কাজ করার জন্য কেকটি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে Previous Post এ আলোসনা করা হয়ছে। Account খোলার সময় আপনার বেক্তিগত ঠিকানা, ইমেইল, ফোন নম্বর ইত্যাদি সঠিক ভাবে পূরণ করবেন। Account খোলার পর আপনার প্রোফাইল এ গিয়ে একটি CV তৈরী করতে হবে। সেখানে উল্লেখ করতে হবে যে আপনি কোন কোন কাজে দক্ষ এবং আপনার Rate কত। সেখানে আপনার ওয়েবসাইট এর Link ও দিতে পারেন। প্রোফাইল কভ যত সুন্দর ও আকর্ষনীয় হবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি থাকে। তাই যতটা সম্বব প্রোফাইল কে Attractive করার চেষ্টা করবেন।প্রোফাইল এমন ভাবে তৈরী করবেন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখেই আপনার উপর ভরসা করতে পারে।
প্রোফাইল তৈরী করা শেষ হয় গেলে এবার সাইট গুলোতে একটু ঘুরে ঘুরে দেখেন। Account খোলার প্রথম কয়েকদিন কাজ এর জন্য Bid করবেন না। বিশেষ করে ১ম ৪-৫ দিন সাইট এর বিভিন্ন Features গুলো দেখে নিতে পারেন। সাইট এর নিয়ম কানুন, সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি ভালো করে দেখে নিন। এতে পরে কাজ করতে সুবিধে হবে।
তারপর আস্তে আস্তে Bid করা শুরু করুন। প্রথম অবস্থায় কাজ পেতে একটু দেরি হয়। ১৫-২০ দিন সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য সহকারে Bid করে যেতে হবে। যখন প্রথম ২-৩ টি কাজ ভালো ভাবে শেষ করতে পারবেন তখন আপনাকে আর পেছন পিরে তাকাতে হবে না। তখন Client আপনাকে কাজের জন্য খুজবে।
যা জানা জরুরি:
কাজ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন। আপনাদের সুবিধার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে অলোচনা করা হলো।
১. Rating
/ Feedback:
কোনো কাজ শেষ করার পর ক্লায়েন্ট কাজ রিভিউ করার পর কাজের দক্ষতা ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করে আপনাকে একটি ১-৫ এর মধ্যে একটি Feedback দিবে। এই Feedback আপনার প্রোফাইল job history তে সবাই দেখতে পারবে। আপনার ফিডব্যাক দেখেই অন্য Client বুঝতে পারবে ওই কাজের উপর আপনার দক্ষতা কতটুকু। তাই যতটা সম্ভব ভালো কাজ করার মানুষিকতা থাকতে হবে। ৪.৫-৫ Rating Feedback রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই পরবর্তিতে কাজের জন্য চিন্তা করতে হবে না।
২. Ranking:
মার্কেটপ্লেস গুলুতে ফ্রীলাসের দের একটি রেংকিং থাকে। যখন কোনো Client তার কজের জন্য ওই সাইট এর ফ্রীলান্সার খুঁজে তখন এই রেংকিং হিসেবেই ফ্রীলান্সার দের লিস্ট শো করে। আপনার রেংকিং যদি খারাপ হয় থাকে তাহলে আপনাকে সার্চ এ সবার শেষে দেখাবে। রেন্ট-এ-কোডার এ আপনার গড় রেটিং, সর্বমোট কত টাকার কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং কত ঘন্টা কাজ করেছেন তা দিয়ে আপনার অবস্থান নির্ধারিত হয়। রেংকিং ও রেটিং এর মত কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
৩. Deadline:
কাজ শেষে করার জন্য client একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়ে দায়। একেই বলে Deadline / Delivery Time. কাজ যথা সম্ভব নির্দিষ্ট সময় এর মধ্যে শেষ করতে চেষ্টা করবেন। কখনো যদি মনে হয় কাজ নির্দিষ্ট সময় এর মধ্যে শেষ করতে পারবেন না তখন কাজ শুরু করার আগেই ক্লায়েন্ট কে জানান। যদি সময় মত কাজ জমা দিতে না পারেন তাহলে হয়ত আপনি কোনো পেমেন্ট ই পাবেন না এবং ক্লায়েন্ট আপনাকে একটা বাজে Feedback / Rating দিতে পারে। তাই এ বেপারে সতর্ক থাকবেন।