আউটসোর্সিং কাজে যে ভুলের কারণে পিছিয়ে পড়তে হয় ফ্রিল্যান্সারদের
:
আউটসোর্সিং কাজের প্রতি আগ্রহ
বাড়ছে অনেকের। বিশেষ করে তরুনদের কাছে বেশি
আকর্ষণীয় পেশা হয়ে উঠছে এটি।
নতুন উদ্যোগ তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে অনলাইননির্ভর
বৈচিত্রময় এ কাজের ক্ষেত্র।
কাজের স্বাধীনতা, নির্দিষ্ট সময়ে
অফিস করার ঝামেলা থেকে মুক্তি, নিজের মতো কাজের
সুবিধার কারণে অনেকেই আউটসোর্সিংকে
স্থায়ী পেশা হিসাবে নিচ্ছেন। অনলাইন
পেশাজীবীদের কাজের ক্ষেত্র হয়ে
উঠছে এটি।
তবে আউটসোর্সিং কাজের ক্ষেত্রে
কিছু ভুলের কারণে পিছিয়ে পড়তে হয় ফ্রিল্যান্সারদের। যা
এড়িয়ে যেতে পারলে কাজটা অনেক
সহজ হয়। এই লেখাই আউটসোর্সিং কাজের ভুলগুলো
তুলে ধরা হলো।
কম রেটে কাজ করা:
নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কাজের জন্য
মরিয়া হয়ে থাকেন। তাই রেট সম্পর্কে কোনো ধারণা
রাখেন না। তাই একটি ৫০ ডলারের
কাজ মাত্র ৫-১০ ডলারে করতেও রাজি হয়ে যান
অনেকে। এতে করে কাজের মান সম্পর্কে
ক্লায়েন্টের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হতে পারে।
ফলে নতুন কাজ পাওয়ার সম্ভবনা
কমে যায়।
দক্ষতা অনুযায়ী কাজ
না করা:
আউটসোর্সিং কাজের ক্ষেত্রে নিজের
দক্ষতা অনুসারে যে কাজটি সবচেয়ে উপযুক্ত সেটি
করা উচিত। কাজটি কেমন তা যেমন
জানতে হবে, তেমনি এটি আপনার দ্বারা করা সম্ভব
হবে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
যদি কাজটি সম্পর্কে দুর্বলতা থাকে তাহলে কাজ না
নেওয়াই উচিত।
ক্লায়েন্ট সম্পর্কে
খোঁজ খবর না নেওয়া:
যে কোনো কাজ শুরুর আগে ক্লায়েন্ট
সম্পর্কে খোঁজখবর করে জেনে নিতে হবে। মোট কথা
যে কোনো কাজ পেলেই শুরু করা যাবে
না। ক্লায়েন্টের আগের কাজের তালিকা চেক করে
দেখতে হবে। তিনি ঠিকভাবে টাকা
পরিশোধ করেছেন কিনা তাও নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
হতাশ হওয়া অন্য যে কোনো কাজের
মতো ফ্রিল্যান্সিং পেশায় বছরের পর বছর ধরে দক্ষতার
উন্নয়ন করে যেতে হয়। সফলতার
জন্য অনেক কাজ শিখতে হয়। শুরুর দিকে অনেক
বাধাবিপত্তি আসে, অনেক সময় এসব
ছেড়ে নতুন কিছু করতে ইচ্ছা করে। এত সহজে হার
মানা যাবে না।
কাজের পর যোগাযোগ না
করা:
কাজ শেষ হওয়ার পর ক্লায়েন্টের
সাথে যোগাযোগ রাখেন না অনেক ফ্রিল্যান্সার। পুরানো
ক্লায়েন্ট নতুন কাজে বড় সোর্স
হতে পারেন। তাই কাজ শেষ হয়ে গেলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
মাঝে মাঝে পুরনো ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলে কাজের কথা
মনে করিয়ে দিতে হবে। তাঁর কাছে
কাজ না থাকলেও আপনার সঙ্গে যোগাযোগের সম্ভাব্য
সব রাস্তা তাঁকে জানিয়ে রাখা
উচিত।
জীবনের অন্য দিক ভুলে
যাওয়া:
আউটসোর্সিং কাজগুলো বেশিরভাগ
সময় রাতে করতে হয়। তাই ফ্রিল্যান্সারদের রাত
জাগতে হয়। নিয়মিত আয় আসতে থাকলে
অনেকে কাজে এত মগ্ন হয়ে পড়েন যে পরিবার
ও প্রিয়জনদের কথা ভুলে যান।
এতে প্রিয়জন কিংবা পরিবারের সদস্যের সাথে ভুল
বোঝাবোঝি হতে পারে। ফলে মানসিকভাবে
সমস্যা হতে পারে। যা কাজের জন্য ক্ষতিকর।
তাই জীবনের সঙ্গে জড়িত মানুষটিকে
ভুলে যাওয়া চলবে না।
No comments:
Post a Comment